অরিন্দম মাহমুদ, ধামইরহাট (নওগাঁ) | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | ৩:৫৭ অপরাহ্ণ
নওগাঁর ধামইরহাটে পুর্ব শত্রুতার বলি হয়েছে রোপণকৃত বোরো ধানের চারা। সবে মাত্র গুছিয়ে উঠা ধানের চারাগুলো ক্ষতিকারক কীটনাশক ছিটিয়ে পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে চরম আকারে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার উমার ইউনিয়নের চৌঘাট কাগজকুটা নামক গ্রামে। এবিষয়ে ভুক্তভোগী ওই কৃষক উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কৃষি কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চৌঘাট এলাকার আলহাজ্ব মহাসীন মন্ডলের ছেলে মো. আহাদুল ইসলাম ও পার্শ্ববতী আলমপুর ইউনিয়নের বীরগ্রাম এলাকার মৃত নায়েব আলীর ছেলে মো. এনামুল ইসলামের মাঝে দীর্ঘদিন যাবৎ জমির মালিকানা সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। তারই প্রেক্ষিতে গত ২১ তারিখ দিবাগত রাতে এনামুল ইসলাম ও তার ভাই নজরুল ইসলামসহ আরো কয়েকজন মিলে ওইদিন দেড় একর জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করেন। ফলে রোপণকৃত ধানের চারাগুলো হলদে হয়ে বিবর্ণ রং ধারণ করে। এতে করে ওই কৃষকের প্রায় এক লক্ষাধিক টাকা ক্ষতির সস্মুখীন হয়। প্রশাসনের নিকট সুষ্ঠুবিচারের দাবি জানান ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী কৃষক আহাদুল ইসলাম বলেন, আমরা ক্রয় সুত্রে ওই জমি প্রায় ৫০ বছর যাবৎ ভোগ দখল করে আসছি। কতিপয় ব্যক্তি আমাদের জমি বর্গা করার নামে জাল দলিল তৈরীর মাধ্যমে ওই জমি নিজের বলে দাবি করেন।
ওই এলাকাবাসী আবদুল করিম জানান, আমি অনেক বছর ধরেই ওই জমি দেখভাল করে আসছি এবং আহাদুল ইসলামকে চাষাবাদ করতে দেখেছি। আসলে থানায় কাগজপত্র যাচাই-বাছাইকরণে অভিযুক্ত এনামুল ইসলামের কাগজপত্র ভূয়া প্রমাণিত হয়েছে।
এবিষয়ে অভিযুক্ত এনামুল ইসলাম বলেন, জমিতে কীটনাশক দেয়ার বিষয়টি পুরোপুরি একটা সাজানো ঘটনা। এ ঘটনার সাথে আমাদেরকে জড়িয়ে কেহ ফয়দা লুটার চেষ্টা করছে।
তিনি আরো জানান, ১৯৭২ সালে ওই জমি আমরা ক্রয় করেছি এবং দীর্ঘ ৭বছর জমিতে চাষাবাদ করেছি এবং মালিকানা নিয়ে বিরোধ থাকলে এবারো চাষাবাদ করতে গেলে তারা বিভিন্ন ভাবে চাষাবাদে বাঁধা দেয়ায় আমরা জমি থেকে সরে আসি তবে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জমি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার গণপতি রায় বলেন, অভিযোগ এখনো হাতে পাইনি। পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ৩:৫৭ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১
seradesh.com | abu sayed