নওগাঁ প্রতিনিধি | ০৬ এপ্রিল ২০২১ | ২:১৮ অপরাহ্ণ
নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার শ্রীমন্তপুর ইউপির রামপুরা গ্রামের মাঠে সরকারি নিয়ম উপেক্ষা করে একটি গভীর নলকুপ স্থাপনের কাজ চলছে। আরেকটি গভীর নলকুপ থেকে মাত্র ২৫০ ফিটের মধ্যে আরো একটি নলকুপ বসানোর ফলে ইরিবোরো জমিতে সেচ কাজ ব্যাহত হবার আশংকা করে অবিলম্বে নিয়মবর্হিভূত ভাবে স্থাপন করা গভীর নলকুপ বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে। নতুন গভীর নলকুপ বসানোর যাবতীয় কাজ বন্ধের জন্য এল আর এম এগ্রো ইন্ডা্রষ্ট্রিজের নিবার্হী পরিচালক লায়লা আরজুমান্দ বানু উপজেলা নিবার্হী অফিসার এর লিখিত আবেদন করেছেন।
আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহি অফিসার ওই নলকুপ স্থাপনের কাজ বন্ধ করে দিলেও কয়েকদিন পর পুন:রায় ওইস্থানে গভীর নলকুপ স্থাপন করা হচ্ছে।
লিখিত অভিযোগ ও এলাকাবাসি সুত্রে জানা যায়, নিয়ামতপুর উপজেলার শ্রীমন্তপুর ইউপির রামপুরা গ্রামের মাঠে দীর্ঘদিন থেকে পল্লী উন্নয়ন একাডেমী ( আর ডি এ)‘র একটি সেচ প্রকল্প দীর্ঘদিন ধরে চালু আছে। এ অবস্থায় নিয়ম উপেক্ষা করে মাত্র ২৫০ ফিটের মধ্যে রামকুড়া গ্রামেরআব্দুল কুদ্দুসের ছেলে হাসানুজ্জামান বাবু একটি গভীর নলকুপ বসানোর কাজ শুরু করে। এ বিষয়ে অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহি অফিসার গত ৯ মার্চ ওই গভীর নলকুপ স্থাপনের কাজ বন্ধ করে দেন। কিন্তু সম্প্রতি ইউএনও‘র নির্দেশনা উপেক্ষা করে পুন:রায় হাসানুজ্জামান বাবু গভীর নলকুপ বসানোর কাজ শুরু করেছেন।
এ বিষয়ে অভিযোগকারি এল আর এম এগ্রো ইন্ডা্রষ্ট্রিজের নিবার্হী পরিচালক লায়লা আরজুমান্দ বানু বলেন, আমি দীঘদিন ধরে আমার গভীর নলকুপ থেকে ১২০ বিঘা জমিতে সেচ দিয়ে আসছি। নিয়ম বহিভূর্তভাবে এতো কাছাকাছি দুটি গভীর নলকুপ বসানো হলে পানি সংকট সহ দুটি ইরিস্কীমের ক্ষতি হবার আশংকা রয়েছে। তিনি অবিলম্বে হাসানুজ্জামান বাবুর অবৈধ্যভাবে নলকুপ বসানোর কাজ বন্ধের দাবি করেন।
হাসানুজ্জামান বাবু বলেন, ওই মাঠে আমার ইরিস্কীম রয়েছে। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় একই দুরত্বে পুন;রায় অনত্র গভীর নলকুপ বসানো হচ্ছে। নলকুপ বসিয়ে জমিতে সেচ না দিলে প্রায় ৭০ বিঘা জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ বলেন, ফসল রক্ষার স্বার্থে হাসানুজ্জামান বাবুকে গভীর নলকুপ পুন:রায় বসানোর কাজে বাঁধা দিচ্ছিনা। ফসল উঠার পর এ নিয়ে বসে সমস্যার সমাধান করা হবে।
নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহি অফিসার জয়া মাহিরা পেরেরা বলেন, প্রাথমিকভাবে রামকুড়া গ্রামের মাঠের ওই গভীর নলকুপ বসানোর কাজ বন্ধ করা হয়েছিলো। কিন্তু সেচ সংকটে কিছু ফসল নষ্ট হবার আশংকা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আমি তদন্ত কমিটি করে দিয়েছি। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান উপজেলা নির্বাহি অফিসার জয়া মাহিরা পেরেরা।
বাংলাদেশ সময়: ২:১৮ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৬ এপ্রিল ২০২১
seradesh.com | abu sayed