পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধি | ০৭ এপ্রিল ২০২১ | ৮:১১ অপরাহ্ণ
নওগাঁর পত্নীতলায় মঙ্গলবার সকালে উপজেলা সদর নজিপুর বাসষ্ট্যান্ড নির্মাণ শ্রমিক কর্ত্তৃক নজিপুর পৌর সভার মেয়র রেজাউল কবীর চৌধুরীকে লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় ৮জন কাউন্সিলর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। এই স্মারকলিপিতে লাঞ্ছনাকারী শ্রমিকদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে উপযুক্ত বিচার না করলে পৌরসভার কাজ বন্ধ রেখে প্রতিবাদ/অনশন করার আল্টিমেটাম প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক বরাবর কাউন্সিলরদের প্রদত্ত স্মারকলিপি সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ৮টায় পৌর মেয়র রেজাউল কবির চৌধুরী নজিপুর চারমাথা বাসষ্ট্যান্ডে জেলা পরিষদ কর্ত্তৃক নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু স্মৃতিস্তম্ভর কাজ দেখতে যান। ব্যবহৃত নির্মাণ সামগ্রী বিচ্ছিন্ন ভাবে ছড়ায়ে থাকায় যান ও জন চলাচল বিঘ্ন ঘটায় এবং প্রায়ই দূর্ঘটনা ঘটায় ছড়িয়ে থাকা নির্মাণ সামগ্রী এক জায়গায় জড়ো করার জন্য মেয়র দায়িত্বরত মিস্ত্রী/লেবারদের অনুরোধ করলে ঠিকাদারের আদেশ ছাড়া তাঁরা তা করতে অস্বীকৃতি জানায়। এ সময় মেয়র ঠিকাদারের মোবাইল নম্বর চাইলে শ্রমিকরা সেটা দিতেও অপারগততা প্রকাশ করে।
এ সময় মিস্ত্রীর সহায়ক মেয়রকে শারিরীক ভাবে লাঞ্ছিত করে। এ ঘটনায় পৌরসভার পক্ষ থেকে কাউন্সিলর, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ নিন্দা ও তীব্র প্রতিবাদ জানান। স্মারকলিপিতে তাঁরা আরো উল্লেখ করেন, একজন মেয়র সরকারের প্রতিনিধি হওয়ায় দৈনন্দিন জনসেবার কাজে বিভিন্ন স্থানে যেতে হয়। জনসেবার কাজ করার বাঁধা দেওয়ার প্রতিবাদে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে লাঞ্ছনাকারীদের উপযুক্ত বিচার না হলে পৌরসভার কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ কাজ বন্ধ রেখে প্রতিবাদ/অনশন করতে বাধ্য হবে বলেও স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে। স্মারকলিপিতে স্বাক্ষরকারীরা হলেন প্যালের মেয়র যুগল চন্দ্র দেবনাথ, ফারজানা খাতুন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুদর্শন চন্দ্র, মোজাহেদুল ইসলাম, সূর্য কান্ত সরকার, ফারহানা বেগম, শাহনাজ বেগম ও মোস্তফা কিবরিয়া।
এ বিষয়ে নজিপুর পৌর মেয়র রেজাউল কবির চৌধুরী বলেন, নির্মাণ সামগ্রীগুলো যততত্র পড়ে থাকায় যান ও জন চলাচলের সমস্যা লাঘবে পৌরবাসীর সমস্যার কথা চিন্তা করে নির্মাণ শ্রমিকদের সেগুলো এক জায়গায় করার অনুরোধ জানালে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাঁরা আমার উপর হামলা চালায়। এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবী করেন তিনি। নির্মাণ শ্রমিকদের হেড খালেকুজ্জামানের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মেয়র একজন শ্রমিককে চড় মারলে তিনি কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই মেয়রকে লাঞ্ছিত করে পালিয়ে যান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. লিটন সরকার বলেন, পৌর মেয়রের সাথে নির্মাণ শ্রমিকদের ঘটে যাওয়া ঘটনাটি অনভিপ্রেত। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এবিষয়ে পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুল আলম শাহ জানান, এঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ৮:১১ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৭ এপ্রিল ২০২১
seradesh.com | abu sayed