নওগাঁ প্রতিনিধি | ০৭ এপ্রিল ২০২১ | ৮:১৯ অপরাহ্ণ
নওগাঁর নিয়ামতপুরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বাড়ির নিমার্ণ কাজ চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বাধা দিতে গেলে প্রতিপক্ষের হামলায় দুজন আহত হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে টান টান উত্তোজনা বিরাজ করছে। যেকোন সময় বড় ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
এ বিষয়ে নূরে আলম সিদ্দিকী বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বিবাদমান সম্পত্তি নিয়ে আদালতে মামলা রয়েছে। মামলা নং- ২৫৩ পি/২১ এবং আদালতের ১৬ মার্চ ২০২১ তারিখের স্মারক নং ৩৮০ (২) র মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। শুনানির তারিখ রয়েছে আগামী ৯ মে ২০২১।
নির্মাণকৃত বাড়ির মালিক নাদের আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন আদালতের নিষেধাজ্ঞার নোটিশ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আদালত নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে রাওতাল মৌজার ৭৪ নং খতিয়ানের ১১২ নং দাগে। আর আমরা বাড়ী নির্মাণ করছি ১০৪ নং দাগে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পাড়ইল ইউনিয়নের কৃষ্ণশাইল (রাওতাল) গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে নূরে আলমের সাথে প্রতিবেশী নাদের আলী ও তার দু’ছেলের সাথে বসতভিটা নিয়ে পূর্ব থেকেই মনোমালিন্য ছিল। সম্প্রতি নাদের আলী বিবাদমান সম্পত্তির ওপর বাড়ি নির্মান করতে গেলে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় নূরে আলম সিদ্দিকী বাধা প্রদান করতে গেলে নাদের আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪০), আক্তার হোসেন (২৮), মৃত গুলজারের ছেলে নাদের আলী (৫০). আব্দুল গফুর (৪৫), আব্দুল গফুর মোল্লার ছেলে আবু সালেহ (২৮), নয়ন (২৫), সাইদুল মোল্লার ছেলে উজ্জ্বল (৩০), মৃত সাদের আলীর ছেলে নূর জালাল (৩৫), হাবিবুল্লাহর ছেলে সাগর আলী (২৫), চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার মহাম্মদপুর গ্রামের মৃত আবু তাহেরের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪০), মৃত পিয়ার সরদারের ছেলে আঃ রাজ্জাক (৪৫), মৃত মহির উদ্দিনে ছেলে রবিউল (৩৫), আনারুলের ছেলে রনি (২৬), নিয়ামতপুর উপজেলার কৃষ্ণশাইল গ্রামের শফিউদ্দিনের ছেলে জামাল উদ্দিন (গুদা) (৩০), মৃত অছিম উদ্দিনের ছেলে হাবিবুর রহমান (৫৫), সংঘবদ্ধ হয়ে নূরে আলমের ওপর দেশীয় অস্ত্র লাঠি, ইট, ইটের খোয়া দিয়ে হামলা চালালে নূরে আলম সিদ্দিকী মারাত্মকভাবে জখম হন। নূরে আলম সিদ্দিকীকে তার ভাই জাফর আলী বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাকেও আক্রমন করে তার ডান পায়ের হাটুর নিচে ভেঙ্গে ফেলে। নূরে আলম সিদ্দিকীর স্ত্রী হাফিজা বেগম বলেন, আমরা বাড়ির বাইরে যেতে পারছি না। বের হলেই মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিচ্ছে। তারা জনসংখ্যায় অনেক বেশী, তাদের গায়ের জোরও বেশী। তাই গায়ের জোরে আমাদের সম্পত্তির ওপর বাড়ি নির্মান করবে। আমাদের কোন কিছুই কি করার নাই? আমরা কি বিচার পাবো না? এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নূরে আলম সিদ্দিকী মাষ্টার বলেন, আমি রাওতাল মৌজার ৭৪নং খতিয়ানের ১১২ দাগে ৯৬ শতক সম্পত্তির মধ্যে ২৪ শতক ক্রয় করেছি। তার উপরই নাদের আলী বাড়ী নির্মান করছেন। বিবাদমান সম্পত্তির ওপর আমার আদালতে মামলা রয়েছে।
তার উপর ১৪৪/১৪৫ ধারা জারি করা রয়েছে। তা সত্ত্বেও নাদের আলী ও তার দুছেলে ভাড়াটিয়া বাহিনী নিয়ে জোর পূর্বক আদালতের আদেশ অমান্য করে বাড়ি নির্মান করছে। আমি বাধা দিতে গেলে আমার ও আমার ভাইয়ের ওপর আক্রমন করে। আমাদের মারাত্মকভাবে জখম করেও ক্ষান্ত হয় নাই। আমার স্ত্রী, ছেলে কে মেরে ফেলার হুমকিও দিচ্ছে। আমাদের বাড়ির বাইরে বের হতে দিচ্ছে না। বের হলেও বিপদ আছে বলে হুমকি দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। নাদের আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে ১১২ দাগে আর আমরা বাড়ি নির্মাণ করছি ১০৪ দাগে। মারামারি প্রসঙ্গে বলেন, আমরা কারো ওপর আক্রমন করেনি।
নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ন কবির বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ৮:১৯ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৭ এপ্রিল ২০২১
seradesh.com | abu sayed