গবেষণা শব্দটি শুনলে প্রথমে আমাদের মাথায় আসে, নিশ্চয়ই নতুনত্ব কিছু একটা আসছে। আবার অনেকে চিন্তা করে এটা একটা দুষ্কর কর্ম যা সকলের দ্বারা সম্ভব নয়।প্রকৃতপক্ষে বিষয়টা কিন্তু এমন কঠিন না,আমরা যতটা কঠিন মনে করি।
যেখানে সারাবিশ্ব গবেষণা নিয়ে এতো মাতামাতি করছে,সেখানে আমরা বিপরীত মুখী অবস্থানে।তবে এটা ঠিক যে,আমাদের মাঝে এই বিষয়টা নিয়ে এতো ভয়ভীতি প্রদর্শন করার জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী নয়,বরং আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার কিছু নীতিগত ভুল সিদ্ধান্ত জন্য আজ এমনটা।
এই ভয়ভীতির মধ্যে কেউ কেউ গবেষণা করে দেশকে নিয়ে গেছে নতুন উচ্চতায়। যারা আমাদের দেশে গবেষণা নিয়ে কাজ করেন তারা নিয়মিত এটা নিয়ে হতাশ যে,এই খাতে সরকার একেবারে স্বল্প পরিসরে বাজেট ঘোষণা করে যার ফলে এই খাতের সাথে জড়িতদের প্রতিনিয়ত নানাবিধ সমস্যার সমমুখী হতে হয়।
তবে এই প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যে দেশকে যারা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরছেন তাদের মধ্যে অন্যতম একজন গবেষক চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের-চুয়েটের কম্পিউটার কৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব মোঃ ছাবির হোসাইন।
দেশের এই সংকট পূর্ণ অবস্থায় তিনি অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন গবেষণা কাজে।সে সাথে তিনি নানাবিধ কর্মকান্ডে নিজের প্রতিষ্ঠান এবং দেশি-বিদেশি অনেকের সাথে নিয়মিত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।শুধুমাত্র যাতে দেশ এবং দেশের মানুষ উপকৃত হয় এজন্য।
মূলত আমরা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে শুরু থেকে গবেষণার সাথে পরিচিত নেই বলে বিষয়টা নিয়ে আমরা ততোটা তৎপর নয়।বিদেশি উচ্চশিক্ষা অর্জন মানে কিভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে তা নিয়ে গবেষণা করা কিন্তু আমাদের দেশে তার উল্টো পিঠ।যেখানে দেশে এতোগুলা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়,মেডিক্যাল কলেজ এবং আছে কিছু নামি-দামি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। অথচ বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে এসে দেখে যাবে গবেষণা নিয়ে অনীহা কাজ করছে।শিক্ষার্থীরা নিজেরা যেমন আগ্রহী নয় এটা নিয়ে ঠিক সেভাবে শিক্ষকরাও অনাগ্রহী এটা নিয়ে।
আমাদের এখুনি গবেষণা নিয়ে অনীহা দূর করে একসাথে দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় গুলো মিলে দেশের কল্যাণের সুবিধামতো সকল প্রকার উন্নয়নের জন্য দেশকে কিভাবে সহায়তা করা যায় তা নিয়ে গবেষণা করা একান্ত প্রয়োজন।
তাছাড়া আজকাল আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে একধরনের মনোভাব তৈরি হচ্ছে চাকরির বাজারে। সকল শিক্ষার্থীরা যেভাবে বিসিএস , ব্যাংক জব, এস আই,বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরের পিছনে ছুটছে মনে হয় তারা সবাই একপ্রকার জিম্মি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে আমাদের দেশসহ বিশ্ববাসী নানান রকমের ইতিবাচক ধারার কর্মক্ষেত্র অথচ তারা সম্পন্ন বিপরীত মুখি অবস্থানে। উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষার্থী হওয়া একজন সাধারণ শিক্ষার্থীর মাঝে যে সমস্ত মুক্ত চিন্তার বিকাশ থাকা উচিত আমাদের দেশে তা একবারে নগণ্য।
সুতরাং, আমাদের এখনই এই সব বিষয়ে নজর দিতে হবে অথবা এই দেশের উচ্চ শিক্ষার আওতায় যা খরচ করছে তা সম্পন্ন বৃথা এবং দেশের সার্বিক অবস্থা কখনো আমল পরিবর্তন আসবে না।